[english_date]।[bangla_date]।[bangla_day]

গাজীপুরে তুরাগ নদীতে গোসল করতে গিয়ে তিন ছাত্রীর মৃতু।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

সাহাদাত শিকদার গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি।

 

 

ভাওয়াল মির্জাপুর সংলগ্ন পাইনশাল এলাকয় তুরাগ নদীতে গোসল করতে গিয়ে তিন জন স্কুল ছাত্রী তুরাগ নদীতে ডুবে মৃতু হয়েছে।

 

 

সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে পাইনশাইল উত্তর পাড়া এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।

 

 

 

পাইনশাইল এলাকার এই ঘটনায় ৪ জন নিখোঁজ হলেও এখন পর্যন্ত তিন ছাত্রীর মৃত দেহ উদ্ধার করেছে সক্ষম হয়েছে ফায়ার সার্ভিস যাদের উদ্ধার করা হয়েছে, সোলেমানের মেয়ে রিচি আক্তার, বয়স ১৩ হায়েত আলীর মেয়ে আইরিন বয়স ১৫ এবং মো. মঞ্জু হোসেনের মেয়ে মায়া আক্তার ১৪। এরমধ্যে আইরিন গাছপুকুর পাড় দাখিল মাদ্রাসার ছাত্রী, রিচি ভাওয়াল মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী এবং মায়া ভাওয়াল মির্জাপুর হাজী জমির উদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজ ৮ম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

 

এছাড়া নিখোঁজ রিয়া আক্তার ১০, স্থানীয় সোলেমানের মেয়ে ও গাছপুকুর পাড় দাখিল মাদ্রাসার ৩য় শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন।

 

 

 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার পাইনশাইল উত্তর পাড়া এলাকায় সোমবার দুপুর ১২টার দিকে প্রতিবেশী পাঁচ ছাত্রী তুরাগ নদীতে গোসল করতে যানা,

এ সময় এক ছাত্রী পানির স্রোতে তলিয়ে গেলে তাকে বাঁচাতে অপর ছাত্রীরা এগিয়ে যায়। এভাবে পর্যায়ক্রমে ৪ জন পানিতে ডুবে যায়। অপর এক শিক্ষার্থী সাঁতরে তীরে এসে স্থানীয় লোকজন ও স্বজনদের ঘটনাটি যানায়। পরে স্থানীয়রা দীর্ঘ সময় ধরে খোঁজা খোঁজির এক পর্যায় তুরাগ নদী থেকে সোলেমানের মেয়ে রিচি আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

 

এ ঘটনার পর গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল উদ্ধার কাজ শুরু করেন। অনেক খোঁজা খোঁজির পর ৪টার দিকে আইরিন ও মায়ার মৃতদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

 

কিন্তু এখনও রিয়ার কোন খোঁজ পায়নি ফায়ার সার্ভিস।

 

জয়দেবপুর থানার ওসি মাহতাব উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিকেল পর্যন্ত তিন ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ একজনের সন্ধানে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সার্বক্ষন তৎপর রয়েছে। ঘটনাস্থলে জয়দেবপুর থানা পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তা এখানে উপস্থিত রয়েছেন।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *